The world of football is in mourning when the king of football sleeps forever.
বং 24 ডেস্কঃ বিশ্বকাপ দিয়েই তাঁর ফুটবল বিশ্বে উত্থান, সর্বকোলের সেরা ফুটবলার তিনি। ফুটবল বিশ্বকাপ এলেই খুশীতে ভরে উঠতো ফুটবল সম্রাটের হৃদয়। সে জন্যই কি এ পৃথিবী ছেড়ে যাওয়ার জন্যও বিশ্বকাপের সময়টাকে এড়িয়ে গেলেন কিংবদন্তি? হয়তো চলে যাওয়ার সময় বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা ঈশ্বর তাঁকে দিয়েছিলেন।
জীবনানন্দ দাশ লিখেছিলেন, ‘যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ, মরিবার হলো তার সাধ’ কথাটির যথার্থ প্রমান দিলেন ফুটবলের রাজা 'পেলে’ (এদসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো) । বিশ্বকাপ শেষ হলো আর তারপরেই ৮২ বছর বয়সে চিরবিদায় নিলেন ফুটবল কিংবদন্তী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তাঁর মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো। পরে তাঁর অফিশিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকেও জানানো হয় এ খবর।
অসুস্থ ছিলেন অনেক দিন ধরেই। বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যা তো ছিলই তাছাড়াও কয়েক বছর ধরে ভুগছিলেন কোলন ক্যানসারে। এই মরণব্যাধির সঙ্গে রাজা লড়েছেন কয়েক বছর ধরেইে একই সাথে বার্ধক্য তো কাউকেই ছেড়ে কথা বলে না - তাই, ফুটবল বিশ্বকে রিক্ত করে চলে গেলেন কালো মানিক।
সময় হয়ে গেছে জেনেই সাও পাওলোর আলবার্ট আইনস্টাইন হাসপাতালের চিকিৎসকেরা ‘এন্ড অব লাইফ কেয়ার’ দেয়া শুরু করেছিলেন চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় যার নাম ‘প্যালিয়েটিভ কেয়ার’।
পেলে’র জীবনে কত ম্যাচে, কত হেরে যাওয়ার ম্যাচে শেষ সময়ে গোল করে জয় ছিনিয়ে নিয়েছেন তা পৃথিবীর সকল ফুটবল পাগল মানুষের জানা। । কিন্তু ক্যানসারের সঙ্গে এই ‘ম্যাচে’ লড়াই করেও শেষ পর্যন্ত হার মানলেন ফুটবল কিংবদন্তী, চলে গেলেন ৮২ বছর বয়সে। চলে গেলেন বেশির ভাগ মানুষের চোখে সর্বকালের সেরা ফুটবলার, চলে গেলেন ব্রাজিলিয়ানদের প্রিয় ‘ও রেই’ বা ‘রাজা’।
পেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ১ ডিসেম্বর। দুবছর ধরেই তো প্রতিনিয়ত হাসপাতালে যাওয়া-আসা তাঁর। ভক্তরা চিন্তায় পড়ে যান, আবার হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেই টুইট বা ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে সেই দুশ্চিন্তা পেলেই দূর করে দেন। এভাবেই চলছিল। তাঁর মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো বাবাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে জানিয়েছিলেন, নিয়মিত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বাবাকে, চিন্তার কিছু নেই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিয়মিত পেলের শারীরিক অবস্থার তথ্য দিয়ে গেছেন কেলি নাসিমেন্তো।
তারপরও ফুটবলের রাজার অসুস্থতার খবর শুনেও কি স্বস্তিতে থাকা যায়! এবার কাতার বিশ্বকাপে ব্রাজিলের ম্যাচে দলটির সমর্থকেরা গ্যালারি থেকে ব্যানার হাতে পেলেকে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য শুভকামনা জানান। পেলের বিশাল জার্সি নিয়ে মাঠে আসেন তাঁরা।
এসব দেখেই হয়তো গত ২ ডিসেম্বর ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়ে ‘তিনি ভাল আছেন’ জানিয়ে প্রার্থনা ও শুভকামনার জন্য ভক্তদের ধন্যবাদ জানান তিনবারের (১৯৫৮, ১৯৬২ ও ১৯৭০) বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার। কাতার বিশ্বকাপের কর্তৃপক্ষও শুভকামনা জানায় তাঁকে। বিশ্বকাপের ম্যাচ চলাকালে তাঁর বিশালাকার পোস্টার প্রদর্শন করা হয়। গতকালও ফুটবলের রাজাকে শ্রদ্ধা জানিয়ে পোস্টারে লেখা হয়, ‘সুস্থ হয়ে উঠুন, পেলে’।কিন্তু আজ তাঁর মেয়ে কেলি নাসিমেন্তো সামাজিক মাধ্যমে ফুটবলের রাজা পেলের চিরবিদায়ের খবরটি দিলেন। রাজা আর ফিরলেন না সুস্থ হয়ে। ফুটবল বিশ্ব হারালো তার অভিভাবককে।
সুত্রঃ রয়টার্স





COMMENTS